নিউজ ডেস্ক :: সরকার কৃষি ও কৃষক বাঁচাতে বছরে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা সারে ভর্তুকি দিয়ে আমদানি করলেও বিতরণ, বরাদ্দে নানা অনিয়মের কারণে সুফল পাচ্ছেনা কৃষক। বরাদ্দকৃত সার না পেয়ে শীতকালীন সবজি ও আগাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয়ে জেলার লক্ষাধিক কৃষক। সরকার বরাদ্দ প্রদান করলে ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের গাফেলতির কারণে গ্রাহক পর্যায়ে সার না পৌছায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। গেল নভেম্বরে জেলায় টিএসপি সারের বরাদ্দ ছিল ১৭৪৭ মেট্রিক টন। এরমধ্যে উত্তোলন করা হয় ১৩৮৩ টন। বরাদ্দকৃত সার থেকে অনুত্তোলীত রয়ে যায় ৩৬৪ টন যা বস্তা হিসাবে ৭২৮০ বস্তা যার মূল্য ৭২ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে টিএসপির ব্যাপক চাহিদার কারণে উক্ত সার বরাদ্দ প্রদান করা হলেও উক্ত ৭২৮০ বস্তা টিএসপি সার গুদামে ও নেই, কৃষকরাও পায়নি। ফলে টিএসপি সারের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। কক্সবাজার বিএডিসির সহকারী পরিচালক মোঃ ইকবাল বাহার বলছেন আমাদের গুদামে ধারণ ক্ষমতা কম থাকায় সার গুদামজাত করতে পারিনি এবং বর্তমানে গুদামে কোন টিএসপি সারের মজুদ নেই। ডিলাররা সার উত্তোলন না করায় টিএসপি সার চলে গেছে। তবে অনুত্তোলিত ৭২৮০ বস্তা টিএসপি সারের হদিস দিতে পারেনি খোদ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের জেলা ইউনিটের সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদুল হক জানান, গেল নভেম্বর মাসে কক্সবাজার জেলার জন্য ৭৪৭ টন টিএসপি সার বরাদ্দ দেয়া হয়। উক্ত সার অপর্যাপ্ত হওয়ার কারনে আরো ১০০০ টন সার অতিরিক্ত বরাদ্দ সহ মোট ১৭৪৭ টন বরাদ্দ দেয়া হয়। উক্ত সার ১৬৮ জন ডিলারকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে উত্তোলনের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।কক্সবাজার ৬ নং ঘাট সংলগ্ন বিএডিসি বাফার গুদাম থেকে সার উত্তোলন করতে গিয়ে ডিলাররা ১৩৮৩ টন সার উত্তোলন করতে পারলেও মজুদ না থাকায় ৩৬৪ টন সার উত্তোলন করতে পারেননি। ফলে সার সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।
পাঠকের মতামত: